পোশাক কারখানায় ফারুক মিয়া চাকরি করেন। তিনি দাদার শখ পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন। আর এ ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশ আলোচিত হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরের মানিকপুরে ফারুক মিয়ার বাড়ি। আকতার হেসেন বাবার নাম। তিনি বিয়ে করেছেন কুমিল্লার হোমনা কামরুল হোসেনের মেয়ে শাহনাজকে। ফারুক তার বোন জামাই, তিন বড় বোন, ভাগ্নিকে নিয়ে হেলিকাপ্টার করে বিয়ে করতে যান শুক্রবার (২২ জানুয়ারি)। এলাকার শত শত উৎসুক নারী পুরুষ ভিড় করেন বর দেখতে। আর নৌ পথে আমন্ত্রিত ২০০ জন বরযাত্রী যান কনের বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, ফারুক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। রাজধানীর একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তারপরও বিয়ে করেছেন হেলিকপ্টারে চড়ে। রীতিমতো চমকে দিয়েছেন এ ঘটনায় এলাকার সবাইকে। আর্থিক অভাব অনটন থাকলেও প্রয়াত দাদা মুনতাজ মিয়ার স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন। ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, একবারই হয় জীবনে বিয়ে। এছাড়া, দাদার ইচ্ছা আর তার স্বপ্ন পূরণ বলে কথা। তাই হেলিকপ্টার ভাড়া করি ঢাকা থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে। কনের বাড়িতে লোক সমাগম তিনি বেশ আনন্দিত বলে জানান।
ফারুকের শ্বশুর কৃষক কামরুল হোসেন বলেন, গর্বিত আমি, জামাই হেলিকপ্টারে করে কন্যাকে নিতে এসেছে। আর কি হতে পারে এর চেয়ে আনন্দের। ফারুকের বাবা আকতার হোসেন জানান, তার পাঁচ মেয়ে পর এক ছেলে হয়। তার বাবার শখ ছিলো নাতিকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানো। মূলত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাদার শখ পূরণ করতেই অভাব অনটনের মধ্যেও ফারুক। ফারুকের বাবা বলেন, কি হবে টাকা পয়সা দিয়ে। এতেই আমরা খুশি আমার ছেলে আনন্দ করেছে।