যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে জঙ্গি হামলায়। শেখ হাসিনার সভা মঞ্চে ইকবাল গ্রেনেড ছুড়েছিলেন ২০০৪ সালে বলে জানিয়েছে র্যাব। কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এ কথা জানান মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঝিনাইদহে ইকবালের বাড়ি। সে এসএসসি পাস। এক সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফাঁসি হওয়া ও জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ অন্যান্য নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন ইকবাল ২০০৩ সালে। জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেন। ওই হামলায় সে অংশ নেয় মুফতি আব্দুল হান্নানের সে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যায় নির্দেশে। হামলার পর ২০০৮ সালে। সম্প্রতি দেশে ফিরে নতুন করে আবার জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইকবাল ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিলেন নির্দেশে। হামলার পর ২০০৮ সালে। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ইকবাল বিদেশ পালিয়ে যান। আবার ইকবালসহ অন্যান্য সাজা হওয়া পলাতকদের গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এরই অংশ হিসেবে। রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাসবিরোধী এক সমাবেশের আয়োজন করে তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল আওয়ামী লীগ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। চারদিক থেকে জঙ্গিরা পাকিস্থানের তৈরি আর্জেস গ্রেনেড ছুড়ে মারে সমাবেশে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়ার পরপরই। রক্তাক্ত হয়ে যায় পুরো এলাকা মুহূর্তের মধ্যে। ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন নিথর দেহ পড়ে থাকে। অল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের তত্কালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহত শতাধিক ব্যক্তিকে।