অবৈধ হবে না ধর্ষণের অপরাধে সালিশ করা কেন, হাইকোর্ট তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করার বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, আদালত সে বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন। বুধবার (২১ অক্টোবর) এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল। গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে।
রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করার বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে তা যেন কঠোরভাবে পালন করা হয়, নির্দেশনা চাওয়া হয় সে বিষয়ে। এছাড়া, রিটে গত ১০ বছরে সারা দেশে কতগুলো ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতে পাঠানো হয়েছে কতগুলো মামলা বিচারের জন্য, নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তার তথ্য জানানোর। ওই রিটে ধর্ষণের মামলার বিচার রুদ্ধদ্বার আদালতে করার বিধান কার্যকর করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
এ রিট আবেদন দায়ের করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন। আইন, স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান গত ১৩ অক্টোবর ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু এ রিট আবেদন করা হয় নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়।