ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত নেপালি জুয়াড়িদের পালাতে সহায়তার প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত শেষে দুজন পুলিশ সদস্যকে গুরুদণ্ড এবং একজন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার প্রধান ওয়ালিদ হোসেনের সঙ্গে শনিবার (২৬ ডিসেমর) বিকেলে। তিনি বলেন, তদন্তপূর্বক যাদের ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্ররক্ষা বিভাগের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম হোসেন ওরফে মিঠুকে পদাবনতি করে নায়েক ও রমনা থানার কনস্টেবল দীপঙ্কর চাকমাকে ১০ বছরে একটি করে বার্ষিক প্রণোদনা কেটে নেওয়া হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার অভিযুক্ত অন্যজন, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা এদেশের ক্যাসিনোকাণ্ডে নেপালিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা পাই। কিন্তু তারা দেশ থেকে পালিয়ে যায় অভিযানের খবরের পরপর। সূত্র জানায়, ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স, মুক্তিযোদ্ধা, আরামবাগ, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয় গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর। অভিযানের পরপর র্যাব জানতে পারে, একদল নেপালি এসব অবৈধ ক্যাসিনোর কারিগরি কাজ করতেন। কিন্তু তাদের ধরা সম্ভব হয়নি অভিযানের সময়। তদন্তে নেমে র্যাব জানতে পারে, অভিযানের সময় সুকৌশলে তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয়।