ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার মামলায়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন সোমবার (৮ মার্চ)।
জামিন শুনানি করেন আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক সাবরিনার পক্ষে। তিনি বলেন, প্রায় ৮ মাস কারাগারে আছেন আসামি। আসামিকে কারাগারে রেখে বিচার শেষ করতে হবে এমন কথা আইনে নেয়। তাই তার জামিন আবেদন করা হয়। তবে মহানগর দায়রা জজ আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছেন। আদালত জামিনের জন্য হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান প্রণব কান্তি ভৌমিক একইসঙ্গে।
করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ২৭ হাজার মানুষকে জেকেজি হেলথকেয়ার ভুয়া রিপোর্ট দেয় বলে অভিযোগ ওঠে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পরে ওই রিপোর্টের বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। গত বছর ২৩ জুন প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় পরে তাদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী গত বছর ৫ আগস্ট। ডা. সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত ২০ আগস্ট।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের প্রধান হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।
