আমাদের অনেক কাজ সহজ হয়ে গেছে বর্তমান ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। আমরা কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে সার্চ করি গুগুলের আশ্রয় নেই। কিন্তু অনেক সময় ক্ষতির কারণও হতে পারে না জেনে গুগলে সার্চ করতে গেলে। সুরক্ষার খাতিরে গুগলে একাধিক জিনিস সার্চ না করাই শ্রেয়। গুগল কিন্তু নিজে কোনো কন্টেন্ট লেখে না মনে রাখবেন। কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে গুগলে সার্চ করলে উঠে আসে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই গুগলে দেখা সব তথ্য যে সঠিক ও নির্ভুল হবে। বন্ধ করা উচিত গুগলের অনুসন্ধান বাক্সে কয়েকটি বিষয় খোঁজা একেবারেই।
১. ব্যাংকের নাম করে নেট ব্যাংকিয়ের জন্য ওয়েবসাইট সার্চ করবেন না সঠিক ইউআরএল না জানলে। আপনি লেনদেন করেন যে ব্যাংকে জেনে রাখা উচিত তাদের অনলাইন ঠিকানা। ব্যাংকের ওয়েবসাইটের আদলে ‘ফিশিং সাইট’ও রয়েছে অনেক। তাই জানা না থাকলে ভুল করে এই সাইটে ঢুকে আপনার গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আইডি-পাসওয়ার্ড নথিভুক্ত করলেই বিপদ নিশ্চিত।
২. সরকারি ওয়েবসাইট জালিয়াতচক্রের সবচেয়ে বড় লক্ষণ থাকে। লাইসেন্সের আবেদন হোক বা অনলাইনে সরকারি ডেথ সার্টিফিকেট বা পৌরসভার কোনো ওয়েবসাইট খুঁজতেও গুগলে সার্চ করবেন না। প্রতারণার ডেরা হতে পারে গুগল সার্চে পাওয়া অনেক ওয়েবসাইট যথাযথ মনে হলেও তা আদপে।
৩. গুগলে উচিত নয় কখনো কোনো সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর সার্চ করাও। ভুল নম্বর থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আপনার মারাত্মক বিপদ হতে পারে বহু ক্ষেত্রে এসব নম্বরে ফোন করলে। বরং নির্দিষ্ট সাইটের ‘কন্ট্যাক্টে’ গিয়ে কাস্টমার কেয়ারের নম্বর জোগার করুন। বিভিন্ন ভুয়া নম্বরও থাকে অনলাইনে। অনেকে প্রতারিতও হয়েছেন সেসব নম্বরে ফোন করে।
৪. একেবারেই নিরাপদ নয় কোন রোগের কী ওষুধ জানতে গুগলকে ভরসা করা। মনে রাখবেন, সবসময় রোগের কী লক্ষণ সে বিষয়ে সঠিক উত্তর দেয় না গুগল। বিশেষ করে করোনা নিয়ে ওষুধের কোনো নাম সার্চ করা যথাযথ নয়।
৫. ভুলেও জানতে চাইবেন না বিনিয়োগ করলেই খুব শিগগিরই বড়লোক হয়ে যাবেন আপনি, এ রকম পার্সোনাল ফাইন্যান্স ও স্টক মার্কেটের কথা গুগলের কাছে।
৬. জালিয়াতরা আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। অফুরন্ত সুবিধার সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাসের বিজ্ঞাপন দেখে সেটি ডাউনলোড করা নিরাপদ নয়। বিপজ্জনক ভাইরাস অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার অজান্তেই ডিভাইসে ঢুকে পড়বে।