ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত ফ্লোরিডায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এবারের নির্বাচনে ফ্লোরিডা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হওয়ায় সেখানকার ভোট টানতেই আপাতত সেখানে বসবাস করবেন।
ট্রাম্পকে ফ্লোরিডার ২৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট কব্জা করতে হবে আগামী ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে হলে। কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে এ ফ্লোরিডায় জয়লাভ ছাড়া হোয়াইট হাউস দখল করা সম্ভব হয়নি গত ১০০ বছরে। ২০১৬ সালে তিনি ১ পয়েন্টের বেশি ব্যবধানে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়েছিলেন, ফলে সঙ্গত কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এ অঙ্গরাজ্য ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী।
ট্রাম্প ও বাইডেন সমানে সমান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ জনমত জরিপ অনুসারে ফ্লোরিডায়। ফাইভথার্টিএইট নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, এ মুহূর্তে ট্রাম্পের তুলনায় ২ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন ৪৮: ৪৬। ভিন্ন জরিপে অবশ্য এ ব্যবধান আরও কম, ট্রাম্প কোনোটিতে সামান্য এগিয়ে।
বাইডেন বেশ স্বস্তিতে ছিলেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ডাকযোগে ভোটে ভালোভাবে এগিয়ে থাকায়। ফ্লোরিডায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আগাম ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে, প্রাথমিক হিসাব অনুসারে রিপাবলিকানরা বিপুল সংখ্যায় ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) থেকে। বলে ভাবা হচ্ছে এ রাজ্যের ডানঘেঁষা কিউবান ভোটারদের অধিকাংশ ট্রাম্পের পক্ষেই ভোট দেবেন। এতে স্বস্তির বদলে বাইডেনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।
ফ্লোরিডা গুরুত্বপূর্ণ জো বাইডেনের জন্য, তবে ভোট অর্জন সম্ভব এ অঙ্গরাজ্য ছাড়াও তার পক্ষে ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ। ফ্লোরিডার চেয়েও তার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ডেমোক্র্যাটদের ‘নীল দেয়াল’ হিসেবে পরিচিত পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিন। ট্রাম্প জয়লাভ করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন গত নির্বাচনে এ তিন রাজ্যেই অল্প ভোটের ব্যবধানে। নিরাপদ ব্যবধানে এগিয়ে বাইডেন এ মুহূর্তে এখানে ট্রাম্পের তুলনায়।
