হাজার হাজার কৃষক ভারতের সংসদে পাস হওয়া নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করছে।ভারতের রাজধানী দিল্লির উত্তরপ্রান্তে এক বিশাল এলাকা পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে আসা কৃষকের আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় তিন-চারদিন ধরে।রাজধানীর একটা বিস্তীর্ণ অংশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অসংখ্য কৃষকরা দিল্লিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখায়।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের সঙ্গে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ যে বৈঠক করার কথা ছিল সেটি দুইদিন এগিয়ে এনেছেন। তিনি কৃষকদের সঙ্গে বসবেন আজ মঙ্গলবার বিকেলেই।১ ডিসেম্বরই কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান মন্ত্রী মূলত শীতের এই মৌসুমে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে বিভিন্ন রাস্তা ও হাইওয়ের ধারে কৃষকরা যে ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আরও দুইদিন অপেক্ষা না করে।কৃষক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য।
শুরু থেকেই কৃষকদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে। কৃষক নেতাদের সঙ্গে তিনি দু’দফায় বৈঠকও করেন ১৪ অক্টোবর ও ১৩ নভেম্বর। তখন তিনি কোনোরকম বিক্ষোভ-আন্দোলনে না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন কৃষক নেতাদের কাছে। দিল্লি সীমানায় কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সেই অনুরোধ উপেক্ষা করেই। এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের কৃষকরাও।দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে ১৪৪ ধারা জারি করে, জলকামন ছুড়ে, ব্যারিকেড বসিয়ে নানা ভাবে আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেও।