খুলনার বিভিন্ন থানায় গৃহবধূ ও শিশুসহ ধর্ষণের অভিযোগে চারটি মামলা হয়েছে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় গত দু’দিনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে। ওসি জানান, পাওনা টাকা আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ গত ২ নভেম্বর মহানগরীর খালিশপুর বাংলার মোড় এলাকার। নতুন রাস্তা বাঁশপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে ৯টার দিকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নভেম্বর রাবিব (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
আরও জানান ওসি, পাওনা টাকা আনতে বাসা থেকে বের হন ওই গৃহবধূ সোমবার রাতে মতি নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে। বাঁশপট্টির সামনে গেলে মহেন্দ্রতে থাকা ৩ থেকে ৪ যুবক গাড়ি থেকে নেমে গৃহবধূর পথ আটকে তাকে বাঁশপট্টির ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে রাব্বি নামে এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। ওসি বলেন, এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে এর মধ্যেই মামলার এজাহারভুক্ত।
অপরদিকে, খুলনার ডুমুরিয়ায় প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে একই দিন। এছাড়া, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী (১২) তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষককে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী আটক করে। বটিয়াঘাটা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১২ বছরের মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করেন সঞ্জয় শীল (৫০) নামে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক এর আগে ৩১ অক্টোবর। ১ নভেম্বর থানায় মামলা হয় ওই ঘটনায়। মোমিনুল ইসলাম মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জানান, বিচারহীনতা এবং ভয়ের সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ অনেকটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এখন অনেকেই আর মামলা করতে আগ্রহী হচ্ছেন না বিচার না পাওয়ায়। আর ভয়ের কারণেও অনেকে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। ক্ষমতা আর বিত্তের কাছে বিচার প্রার্থীরা অসহায় হয়ে পড়ছেন। আর যারা অপরাধী, তারাও জানে যে তাদের কিছু হবেনা। নিবৃত্ত হয় না তাই তারাও।