স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় প্রেম করে বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায়। ধর্ষণের সাজানো বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এ ঘটনায়। বিষয়টি উভয়ে স্বীকার করেছেন পরে বিয়ের। তবে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের সত্যতা মিলেছে। প্রস্তুতি চলছে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের সামছুউদ্দিনের মেয়ে সালেহা বেগম প্রেম করে ছয় মাস আগে পালিয়ে একই উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে সজিবকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কাবিন করেননি তারা। স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছেন বিয়ের পর থেকে সালেহা। সম্প্রতি যৌতুকসহ নানা বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় সালেহার। বাবার বাড়ি চলে যান এ অবস্থায় সালেহা।
তিনি কয়েকদিন আগে দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী ও শ্বশুর সালেহাকে ধরে নিয়ে যান। তাকে মারধর করা হয় এ সময়। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন রোববার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন। এ সময় শ্বশুরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তুলে নেয়া ও স্বামীর বিরুদ্ধে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে ঘটনার সত্যতা বের করে। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সালেহা পালিয়ে বিয়ের কথা স্বীকার করেন। তিনি পারিবারিক বিরোধে ধর্ষণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন। বানিয়াচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, ঝগড়া ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী। তবে সাজানো ধর্ষণের ঘটনাটি। উভয়পক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে যৌতুকের জন্য মারপিট করায়।