জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাল ছেড়ে না দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।সংস্থাটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোদমের লকডাউন এড়াতে জোর দিয়েছে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অন্যান্য পদক্ষেপের ওপর। এক অনলাইন সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, তিনি অবসাদ বুঝতে পেরেছেন মহামারির; যা অনুভব করছেন কিছু মানুষ। তবে এই ভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি কোনও ভ্যাকসিন অথবা ওষুধ এখন পর্যন্ত না আসায়।
তিনি বলেন, অত্যন্ত কঠিন এবং এই অবসাদ বাস্তব বাসায় থেকে কাজ, স্কুলের শিশুদের দূর থেকে পাঠদান, পরিবার অথবা স্বজনদের সঙ্গে কোনও মাইলফলক উদযাপন অথবা প্রিয়জনের বিদায়ে শোক জানাতে না পারাটা–। কিন্তু পারি না আমরা হাল ছেড়ে দিতে। হাল ছাড়বো না আমরা অবশ্যই। নতুন করে উত্থান শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় করোনাভাইরাসে।এবারের ধাক্কা গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে গত মার্চের প্রথম দফার সংক্রমণের চেয়ে।
জন হপকিন্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ৪ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে প্রাণ কেড়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষের গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস। করোনার সংক্রমণ দমনের চেষ্টা দেশগুলোর এখনই ছেড়ে দেয়া উচিত নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি সেবাবিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন। যতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে; তার ৪৬ শতাংশই ইউরোপের। রায়ান এটি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই মহামারির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় অঞ্চল এটি নিয়ে কোনও ধরনের প্রশ্ন নেই।