সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বার্সেলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি লাল কার্ডের জন্য। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কা এক প্রতিবেদনে। তারা বলছে, স্প্যানিশ সুপারকোপার ফাইনাল শেষে ড্রেসিংরুমে মেসি ছিলেন হতাশাগ্রস্ত রোববার। একে তো দলের ফাইনাল হার অন্যদিকে নিজের লাল কার্ড। ফুটবল মঞ্চের সেরা তারকা ছিলেন হতাশ দুইয়ে মিলিয়ে। মাঠের পারফরম্যান্স এবং নিজের লাল কার্ডের জন্য সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান। প্রথমে লিওনেল মেসির ছবি ভেসে ওঠে বার্সেলোনা ক্লাবের নাম শুনলেই। বার্সেলোনা ও মেসি যেন পরিপূরক হয়ে উঠেছেন। কাতালান শিবিরে যোগ দেওয়ার পর মহাতারকা মেসি ক্যাম্প ন্যু মাতিয়েছেন নিজের ছন্দে ২০০৫ সালে। পেয়েছেন যশ-খ্যাতি, ঐশ্বর্য।
কিন্তু মেসির কাছে ছিল বিভীষিকাময় রোববারের রাত। কারণ সেই রাতে বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথম লাল কার্ড মেসিকে হজম করতে হয়। ফাইনালের আগে বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৫৩ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। মাঠ থেকে সরাসরি কখনো তাকে উঠে যেতে হয়নি। ম্যাচ যখন হাত থেকে বেরিয়ে যায় তখন মেজাজ হারিয়ে বিলবাওয়ের এসিয়ের ভিয়ালিব্রেকে ঢুসা মেরে ভুপাতিত করেন মেসি। প্রথমে তা এড়িয়ে যায় রেফারির চোখ। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান।
মেসি চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন এ ঘটনায়। স্প্যানিশ ফেডারেশন তার ঘটনা তদন্ত করে সিদ্ধান্ত জানাবে। যদি চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন তাহলে বৃহস্পতিবার কোপা ডেল রের ম্যাচে করনেলার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মেসি। পাশাপাশি তিনি লা লিগায় ইলচে, অ্যাথলেটিক ক্লাব ও রিয়েল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচ মিস করবেন। মেসি দুইটি লাল কার্ড দেখেন এর আগে। দুইটি জাতীয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিতে। জাতীয় দলের অভিষেক ম্যাচে প্রথমটি ২০০৫ সালে। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পরেরটি ১৪ বছর পর।