প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর। প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে এ জন্য। মুঠোফোনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। মনসুরুল আলম বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে। নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ আমরা এগিয়ে রেখেছি এ অবস্থাতেও। ইতিমধ্যে সফটওয়্যার ডেভোলপমেন্ট এর কাজ শেষ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে পরীক্ষার বিষয়ে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৪ নভেম্বর। তবে করোনা পরিস্থিতি ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ বাতিলের দাবিতে রিট করায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়। ডিপিই মহাপরিচালক বলেন এ বিষয়ে, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরও অধিদপ্তর বসে নেই। আমরা কাজ করে যাচ্ছি নিয়োগ পরীক্ষার মত মহাযজ্ঞ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে। প্রায় সম্পন্ন আয়োজনও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গেই সঙ্গেই নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
কোনো মামলা হয়নি নিয়োগের বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, যে কারণে পরীক্ষার আয়োজনে কোনো বাধা নেই। তবে মামলা বা রিট সংক্রান্ত মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে। অধিদপ্তর কাজ করছে এ বিষয়ে। প্রসঙ্গত, ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার এবার প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবে ২৫ হাজার ৬৩০ জন। ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছে এই নিয়োগে।