ছুঁই ছুঁই ৩৯বয়স প্রায়। ব্যাট-প্যাড তুলে রেখে দিব্যি কোচ কিংবা ধারাভাষ্যকার হয়ে গেছেনএ বয়সে অনেকেই। কিন্তু এখনও দিব্যি পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন শোয়েব মালিক। এই যেমন, পাকিস্তানের ঘরোয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে জেতালেন, শিরোপা এনে দিলেন। পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল রোববার ছিল। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার এই ম্যাচেই অসাধারণ ব্যাটিং করলেন। তার ২২ বলে ৫৬ রনের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করেই খাইবার পাখতুনখাওয়া স্কোরবোর্ডে জমা করে ২০৬ রান।
কম যায়নি জবাব দিতে নেমে সাউদার্ন পাঞ্জাবও। তারা ৮ উইকেটে করেছিল ১৯৬ রান। মাত্র ১০ রানে ম্যাচ জয়ে পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতে নেয় শোয়েব মালিকের দল খাইবার পাখতুনখাওয়া।
ওই ঝড়ো ব্যাটিংটা না করণে নিশ্চিত হারতে হতো তাদেরকে শোয়েব মালিক শেষ মুহূর্তে। যে কারণে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবধারিতভাবেই উঠেছে। প্রথমে খাইবার পাখতুনখাওয়াকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান সাউদার্ন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শান মাসুদ রাওয়ালপিন্ডিতে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে টস জিতে। ফাখর জামান এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন।
আউট হন রিজওয়ান ৩০ বল খেলে ২৫ রান করে। ঠিকই ঝড় তোলেন তবে অন্য ওপেনার ফাখর জামান। তিনি ৬৭ রান করেন ৪০ বল খেলে। তিনি ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন। মোহাম্মদ হাফিজ ২৬ বলে ৩৮ রান করেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে। তিনি ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন। ইফতিখার আহমেদ মাঠে নেমে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপরই শোয়েব মালিক মাঠে নেমে ঝড় তোলেন। একের পর এক বাউন্ডারি আর ছক্কায় দিশেহারা করে তোলেন সাউদার্ন পাঞ্জাবের বোলারদের। তার ২২ বলে খেলা ৫৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কায়। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে খাইবার পাখতুনখাওয়া। আমের ইয়ামিন, জাহিদ মাহমুদ এবং মোহাম্মদ ইমরান নেন ১টি করে উইকেট। শান মাসুদ জবাব দিতে নেমে, জিসান আশরাফ এবং শোয়েব মাকসুদরা খুব দ্রুত ফিরে যান। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হুসাইন তালাত এবং খুশদিল শাহ মিলে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটি ভাঙে ১০৮ রানের মাথায় গিয়ে।
হুসাইন তালাত ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন, তিনি৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন। খুশদিল শাহ ২৪ বলে ৩৪ রান করেন। মোহাম্মদ ইমরান শেষ মুহূর্তে ১৩ বলে ৩৮ রানের ঝড় তোলেন। কিন্তু তার এই ঝড়ও পরাজয় বাঁচাতে পারেনি। সাউদার্ন পাঞ্জাবের ইনিংস ৮ উইকেটে ১৯৬ রানে থেমে যায়।শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩ উইকেট নেন। আরেক অভিজ্ঞ পেসার ওয়াহাব রিয়াজও নেন ৩ উইকেট। দু’জনই ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৬ রান করে। উসমান সিনওয়ারি এবং আসিফ আফ্রিদি ১টি করে উইকেট নেন।