আতিয়া ফেরদৌস স্নিগ্ধা ঢাকার মিরপুরে থাকেন। পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশায়ও যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি স্বামীর সংসারে এক সন্তানের জননীও। করোনাকালীন সময়ে হতাশা থেকে হয়ে ওঠেছেন একজন পেশাদার উদ্যোক্তা। নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন মাত্র পাঁচ মাসে নিজের ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে।
প্রতিটি মেয়েই চান আর্থিক স্বাধীনতা ও নিজে স্বাবলম্বী হতে পরিবার সচ্ছল হলেও। চার বছরের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দেন বাচ্চার দেখাশুনার জন্যই। তিনি চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে হতাশা আর দুশ্চিন্তায় ডুবে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় উদয় হয় নিজের একটা পরিচয়ের জন্য অন্তত উদ্যোক্তা হতে হবে তাকে। এই মূলমন্ত্র নিয়ে স্নিগ্ধা কাজ করছেন দেশীয় শাড়ি নিয়ে ‘শাড়িতেই নারী’। তাঁতের শাড়ি, পাট ও সিল্কের শাড়ি অন্যতম। এছাড়াও তার রয়েছে নিজের হাতে নকশা করা কাঠের গহনা, ঘর সাজানোর কাঠের আসবাবপত্র ও বাচ্চাদের পোশাক।
স্নিগ্ধা বলেন, কী থেকে কী করবো নিজের কিছু থাকবে এই স্বপ্ন থাকলেও এজন্য সাহস পাইনি শুরু করতে। আমার ব্যবসার প্রতি আগ্রহ বাড়ে ফেসবুক গ্রুপ উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স) ফোরাম থেকেই। অন্য সফল নারী উদ্যোক্তাদের কথা শুনে ও উইর উপদেষ্টা জনাব রাজীব আহমেদের অনুপ্রেরণায় এক পা, দু’পা করে নিজেই খুলে ফেললাম ফেসবুক পেজ। ব্যাপক সাড়া পেলাম কোনো রকম বুস্টিং ছাড়াই। আগে সেই পণ্য সম্পর্কে জানার কোনো বিকল্প নেই উদ্যোক্তা হতে গেলে। আর তিনি বলেন সেই পণ্য নিয়ে পড়াশুনা বা জানতে সহায়তা করেছে উই গ্রুপ।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে গেলে, আগে সন্ধান করতে হবে সেটার গোড়া বা শেকড়ের। আমি দিনের পর দিন জেলায় জেলায় হন্য হয়ে ছুটে বেড়িয়েছি এই বিশ্বাস নিয়েই ব্যবসার শুরুতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী। বাঁধা-বিপত্তি তেমন ছিল না, কেননা শতভাগ পরিবারের সহযোগিতা ছিল। হতাশা যেখানে অস্থিরতার কারণ হওয়ার কথা, একজন সফল উদ্যোক্তা সেই হতাশাকেই শক্তিতে রূপান্তর করে স্নিগ্ধা হয়ে ওঠেছেন । পাঁচ মাসে লক্ষাধিক হয়েছে মাত্র ১৫০০ টাকা মূলধন। তার একমাত্র পেশা ভবিষ্যতে ব্যবসাই হবে।